স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হাট ও ঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি ও অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে কুড়িগ্রামের সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার নেতৃত্বে একটি টিম বুধবার চিলমারীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ জোড়গাছ হাট ও ঘাট পরিদর্শন ও অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের সময় গরু-ছাগল হাট, কাঁচাবাজার, তোহা ও চটি বাজারেও অভিযান চালানো হয়। চটি বাজারের বিক্রেতারা জানান, সেখানে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছিল। তবে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে আদায়কারীরা দ্রুত সরে পড়ে।
বিক্রেতা আব্দুল রউফ বলেন, “সেনাবাহিনী আসার পর থেকে অতিরিক্ত খাজনা নেওয়া বন্ধ হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আদায়কারী গা ঢাকা দিয়েছে।” অন্য ক্রেতা ও বিক্রেতারা আশা প্রকাশ করেন, অভিযান নিয়মিত চালানো হলে চাঁদাবাজির অভিযোগ আর থাকবে না এবং হাট তার পুরাতন ঐতিহ্য ফিরিয়ে পাবে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছেন, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং খুব শিগগিরই চিলমারীতে ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। অভিযান শুরু হওয়ায় এলাকার মানুষ আবারও নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার আশ্বাস পাচ্ছে।
